ছোট্ট এক পরিবর্তনে বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারেন
আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। তারপরও দিনের বেলায় এসি, ফ্যান ব্যবহার করছেন আবার সন্ধ্যায় গিজার ছেড়ে গোসল করছেন। সব দিক থেকেই বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, বাড়ছে বিলও। এই সমস্যার সমাধানে ছোট্ট কিছু পরিবর্তন করতে পারলে সহজেই বিদ্যু খরচ কমাতে পারি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ নিয়ম ও অভ্যাস যোগ করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। চলুন কিছু কৌশল জেনে নেওয়া যাক-
আলো ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন
ঘর সাজাতে আমরা সাধারণত কেবল বাল্ব ব্যবহার করি, কিন্তু এলইডি বাল্ব ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কমে যায়। এলইডি বাল্বগুলো সাধারণ বাল্বের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই বাড়ির সব আলো এলইডিতে পরিবর্তন করা উচিত।
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখা
অনেক সময় আমরা টিভি, কম্পিউটার বা অন্য কোনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করেও চালু রেখে দিই। এটি একে অপরকে বিদ্যুৎ খরচের মধ্যে যুক্ত করে। যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পর সেগুলো বন্ধ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি শক্তিশালী প্লাগে একাধিক যন্ত্রপাতি সংযোগ না করার চেষ্টা করুন এবং ব্যবহার শেষে সবগুলো বন্ধ করুন।
প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করা
দিনের বেলা প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের একটি সহজ উপায়। জানালা ও পর্দা খুলে রাখুন, যাতে সূর্যের আলো প্রবাহিত হতে পারে। এতে ঘরের আলোর প্রয়োজন কমে যায় এবং এক্সট্রা বিদ্যুৎ খরচ বন্ধ হয়।
গ্রীষ্মের সময় আমরা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করি, যা বিদ্যুৎ খরচ বাড়িয়ে দেয়। পাখা ব্যবহার করলে কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং তা গরম আবহাওয়ায়ও কার্যকরী। যদি এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হয়, তাহলে সেটি সামান্য তাপমাত্রায় চালান এবং যথাসম্ভব কম সময় ব্যবহার করুন।
ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
ফ্রিজ বাড়ির অপরিহার্য একটি যন্ত্র, তবে এর তাপমাত্রা যথাযথভাবে সেট করা হলে বিদ্যুৎ খরচ কমানো সম্ভব। ফ্রিজের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে পোক্ত স্থানে রাখুন, এতে বিদ্যুতের খরচ কমবে।
রান্নার জন্য সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার
রান্নার ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ এবং প্রেসার কুকার ব্যবহার করলে সময় ও বিদ্যুৎ দুটিই সাশ্রয় হয়। প্রচুর সময় ও বিদ্যুৎ খরচ করে সাধারণ স্টোভ ব্যবহার করার বদলে এই যন্ত্রপাতিগুলো অধিক কার্যকর।
ওয়াটার হিটার ব্যবহার সংরক্ষণ
গরম পানির জন্য হিটার ব্যবহারের সময় তা বন্ধ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন না হলে পানি গরম করার সময় ওয়াটার হিটার বন্ধ রাখুন। এমনকি রাতে গরম পানির জন্য অগ্রাধিকার দিলে বিদ্যুতের খরচ কমানো সম্ভব।
স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার
স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট এবং টাইমার যুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। আপনি নির্দিষ্ট সময়ে যন্ত্রপাতি চালু ও বন্ধ করতে পারেন, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সাহায্য করে।
পরিকল্পিত বিদ্যুৎ ব্যবহার
বিদ্যুতের খরচ কমাতে পরিকল্পনা খুবই জরুরি। সাধারণত রাতের সময়ে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাতের দিকে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। এটি শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে না, বরং আপনার দৈনন্দিন কাজের জন্যও একটি কার্যকরী ব্যবস্থা তৈরি করবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স